চিরযৌবন ধরে রাখতে চান? আপনার বয়স কত? আপনি কি লক্ষ্য করে দেখেছেন, আপনার বাল্যবন্ধু বা আপনার বয়সী ব্যক্তিদের ঠিক দেখতে কেমন লাগছে? তাদের দেখলে কি তাদের সঠিক বয়স কত তা বোঝা যায়? এক বয়সের হলেও সবাইকে কি একরকম লাগে? আপনাদের মধ্যে অনেককে দেখে হয়তো মনে হয় সে এখনও কলেজে পড়ুয়া, আবার কাউকে দেখে হয়তো মনে হয় সে প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি? বায়োলজিক্যাল এজ সব সত্যি বলে দেয়। এর দ্বারা বোঝা যায় আপনার শরীর কতটা পুরনো হয়েছে। প্রতিদিনের জীবন ধারণের পদ্ধতি মানুষের দেহে তার বয়সের প্রভাব ফেলে। আপনার পরিচিত কারও যত বয়স তার থেকে তাকে দেখতে যদি আরও কম বয়সের লাগে তাহলে বুঝতে হবে তার জীবন ধারণ পদ্ধতি অনেক উন্নত। কিন্তু তাতে আপনি দুঃখিত হবেন না। অসম্ভব কিছুই নয়। এখন থেকে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার জীবনশৈলী পরিবর্তন করে দেখুন আপনার বয়সও কম দেখাতে পারে। এর জন্য আপনাকে জীবন ধারণের পদ্ধতি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞের মতামত মেনে চলতে হবে। কীভাবে আপনি আপনার ইয়াং লুকের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন তার সম্পর্কে কিছু ধারণা দেয়া হলো— — প্রতিদিন খাবারের তালিকায় টমেটো রাখুন। নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস পুরুষের বর্তমান বয়স থেকে ১.৯ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ০.৮ বছর কম বয়সী দেখায়। — প্রতিদিন অ্যাসপিরিন পিল খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ২.২ বছর কম করে দেখাতে সাহায্য করে। — প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক মিলন ২ থেকে ৮ বছর বয়স কম করে দেখায়। — প্রতিদিন খোলা পরিবেশে আধা ঘণ্টা নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস আপনার বয়স প্রায় ১.৬ বছর কম করে দেখাতে সাহায্য করে। — প্রতিদিন নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়ামাভ্যাস করলে বয়স প্রায় ১.৬ বছর কম দেখায়। — প্রতিদিন চকলেট খাওয়া খুব ভালো এবং তা আপনার বয়স ১.৩ বছর কম করে দেখায়। — প্রতিদিন ৫ রকমের ফল খাওয়ার অভ্যাস আপনার জীবনে ১.৪ বছর যোগ করে। — নিয়মিত যে কোনো ধরনের বাদাম খেলে আপানার জীবনকাল আরও ৩ বছর বাড়তে পারে। — প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে নড়রষবফ বা steamed মাছ রাখলে তা আপনার বয়স ৩ বছর কম করে দেখায়। — প্রতিদিনের সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনার যা বয়স তার থেকে অন্তত ৩.৩ বছর কম করে দেখায়। — আপনি প্রাণ ও মন খুলে হাসতে পারলে তা আপনার জীবনকাল বাড়ায় প্রায় ১.৭ থেকে ৮ বছর। — মাল্টি ভিটামিনরূপে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা ১.২ বছর বয়স কম করে দেখায়। — ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য ০.৫ বছর বয়স কম দেখায়। — ভিটামিন জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেলে ০.৪ বছর কম দেখায়। — আপনি নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিলে বা প্রতি ছয় মাসে ডেনটিস্টের কাছে গেলে অর্থাত্ দাঁতের সঠিক দেখাশোনা আপনার বয়স প্রায় ৬.৪ বছর কম করে দেখাতে সাহায্য করে। — প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ব্রেকফাস্ট ১.১ বছর কম করে। — আপনার হাত পরিষ্কার রাখার বা হাত ধোয়ার অভ্যাস আপনাকে ০.৪ বছর কম বয়সের দেখায়। — রাতে খুব ভালো ঘুম, মহিলাদের জন্য কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা পুরুষদের জন্য কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা, তাদের জীবনকাল কম করে ৩ থেকে ১২ বছর বাড়িয়ে দেয়। — স্ট্রেস আপনার জীবন থেকে ৩২ বছর কম করে দিতে পারে। — ১৮ বছর বয়সী মহিলা এবং ২১ বছর বয়সে পুরুষের যা ওজন থাকে সে ওজন সারা জীবন ধরে রাখতে পারলে অর্থাত্ সঠিক ওজন ৬ বছর বয়স কম করে দেখায়। এভাবে মেনে চলে আপনি দেখুন আপনার সমবয়সী বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতদের মধ্যে আপনাকে সব থেকে কম বয়সী লাগবে। (ইন্টারনেট অবলম্বনে) ডায়াবেটিস প্রতিরোধে মসলা মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগের চিকিত্সার ব্যবস্থা চিকিত্সা শাস্ত্রের নানা দিকে নানাভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি তার মধ্যে ব্যবহৃত কিছু মসলা দ্বারাও এই রোগ থেকে নিবৃত্তি পাওয়া সম্ভব। যেমন— হলুদ : ডায়াবেটিসের রোগী নিয়মিত প্রতিদিন ১/২ চামচ হলুদ খেলে উপকার পাবেন। হলুদ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যে কোনো ঘা বা কোনো ধরনের আঘাত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। অভ্যন্তরীণ ক্ষতও হলুদের দ্বারা সেরে ওঠে। তেজপাতা : তেজপাতাও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। ১/২ বা ১ চামচ তেজপাতার গুঁড়ো পানিতে ভিজিয়ে তা সারারাত রেখে দিন, সকালে খালি পেটে ওই পানি ছেঁকে নিয়ে পান করলে শরীরে শর্করার মাত্রা সঠিক থাকে। কাঁচামরিচ : প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে দুই থেকে তিনটি কাঁচামরিচ খেলে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ খেলে তাদের সমস্যা কম হতে পারে এবং রোগের সমাধানও সম্ভব হয়ে ওঠে। কাঁচামরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে, যার দ্বারা পাচনতন্ত্রের কাজ ভালো হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। আমলকি : আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকির ব্যবহার দেখা গেছে। আমলকিকে আয়ুর্বেদে যৌবনবর্ধক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিদিন ১/২ চামচ আমলকির গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দাঁত মজবুত হয়, শিরা ও ধমনীতে রক্তপ্রবাহ সঠিক থাকে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমলকি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই রোগের ক্ষেত্রে আমলকির ব্যবহার রোগ কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগ শারীরিক দিক থেকে নানা ধরনের ক্ষতি করে থাকে। এই রোগের প্রভাবে মানুষ ক্রমে দুর্বল হয়ে যায়। নিয়মিত চিকিত্সা এই রোগের জন্য খুবই জরুরি। এছাড়াও রোগী তার খাদ্যের মধ্যে নিয়মিত এই মসলা ব্যবহার করলে বা উল্লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই রোগ থেকে নিরাময় পেতে পারে। খুব বেশি পরিমাণে কোনো কিছু ব্যবহার না করে সঠিক মাত্রায় তা ব্যবহার করলে শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।
Friday, October 8, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment