Saturday, October 9, 2010

মহিলাদের সঙ্গমের সমস্যা

পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে তা হলো যৌন দূর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেনপুরুষের ও মহিলাদের সঙ্গমের সমস্যা গুলো কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতিরপৃথীবিতে শতকরা ৪৩ ভাগ পরিণত বয়সের মহিলাই কোনো না কোনো সঙ্গমের সমস্যায় ভোগেনএই সমস্যার কোনোটি যৌন উত্তেজনা বোধ না করার কারনে, কোনটি আবার যৌন কার্যে আগ্রহ বোধ না করা, সঙ্গমে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি উপসর্গ সমন্নয়ে বিন্যস্ত
সাধারণত কিছু কিছু রোগে আক্রান্ত হলে মহিলাদের সঙ্গম এর সমস্যা গুলো দেয়এই রোগ গুলো হলো
  • হৃদ রোগ
  • উচ্চ রক্ত চাপ বা হাইপারটেনশন
  • এন্ডোক্রাইন বা হরমোনের সমস্যা (যেমন ডায়াবেটিস, হাইপোপ্রলাকটিনোমিয়া ইত্যাদি)
  • নিউরোলজিকাল রোগ (যেমন স্ট্রোক, মেরুদন্ডের রজ্জু বা স্পাইনাল কর্ডে আঘাত)
  • বড় কোনো সার্জারি করা বা আঘাত পাওয়া
  • কিডনি রোগ
  • লিভার রোগ
  • মানসিক চাপ বা বিভিন্ন মানসিক ব্যধি
  • এছাড়া কিছু কিছু অসুধ সেবনের কারনেও এমন সমস্যা দেখা দেয়
এসব সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিতBehavioral modification এবং কিছু অসুধ (যেমন হরমোন) এবং কিছু কিছু ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমেও এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

পুরুষের যৌন দূর্বলতা

পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে তা হলো যৌন দূর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেনঅনেক অবিবাহিত এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করেনি এমন অনেকেও কিন্ত এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হনআসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি অনেক অপসংস্কার বা কুসংস্কার এই দূর্বলতার কারণে সমাজে বাসা বেধে আছে
যৌন দূর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে তবে যৌন কার্যে নারীর ভূমিকা অনেক খানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশী উদবিগ্ন হতে দেখা দেয়নারী পুরুষ মিলিয়ে এ ধরণের রোগির সংখ্যা শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশএকটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে এটা মোটেই ফেলে দেবার মতো কোনো সংখ্যা নয়
প্রথমে পুরুষের ব্যধি নিয়ে আলাপ করা যাকএজন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে একজন পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজ গুলো কি কি১- যৌন ইচ্ছা (Libido-লিবিডো) বা সেক্সুয়াল ডিজায়ার থাকা২- লিঙ্গত্থান বা ইরেকশন (Irection) হওয়া, যা পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবার কারনে হয়৩-পুরুষাঙ্গ দিয়ে ধাতু (semen-সিমেন) নির্গমন (Ejaculation)এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি term ও জেনে নেয়া যেতে পারে আর তা হলো Detumescence বা পুরুষাঙ্গের শিথিলতা
এসব কিছুর মধ্যে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা ইরেকটাইল ডিজফাংশন টিই প্রকট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিতএই সমস্যাটি নানাবিধ কারনে হতে পারেএর বড় একটা কারন হলো মনস্তাত্বিক, এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিস্কের রোগের কারনেও এমনটি হতে পারেপুরুষাঙ্গের ধমনি (রক্তনালী)সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরার যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণ করতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্ম দেয়
<a href="http://www.bidvertiser.com/bdv/BidVertiser/bdv_advertiser.dbm">marketing</a>
কারন গুলোকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করলে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেতে পারে
১. বার্ধক্যঃ আসলে বয়স বাড়াটা লিঙ্গোত্থানের ব্যর্থতার কোনো সমস্যা নয়, বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক যেসব পরিবর্তন হয় তা অনেক সময় এতে প্রভাব ফেলে
২. কিছু কিছু রোগের কারনে পুরুষের এমন সমস্যা হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস হওয়া, স্থুলতা, অন্য এন্ডোক্রাইন বা হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়া, প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হওয়া ইত্যাদি
৩. ধুমপানঃ ধুমপান একদম প্রত্যক্ষ ভাবে লিঙ্গত্থান ব্যর্থ হবার একটি বড় কারন
৪. অসুধঃ কিছু কিছু অসুধ আছে যা পুরুষের অমন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এর মধ্যে আছে মানসিক রোগের অসুধ, কিছু স্টেরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের অসুধ, নেশা উদ্রেককারী অসুধ যেমন কোকেন, গাজা, অধিকমাত্রায় এলকোহল সেবন ইত্যাদি
৫. মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে যে মজ্জা থাকে (spinal cord) তাতে আঘাত পেলে কিংবা তা রোগাক্রান্ত হলেও এমন সমস্যা দেখা দেয়
৬. পুরুষাঙ্গের নিকটবর্তী স্থানে রেডিওথেরাপী দিলেও এমন সমস্যা হতে পারে
৭. এছাড়া ডিপ্রেসন, এঙ্গার কিংবা বিভিন্ন মানসিক চাপ বা উত্তেজনার কারনেও লিঙ্গোত্থানে সমস্যা দেখা দেয়
চিকিৎসাঃ
যৌন দূর্বলতার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের কারণের উপড়পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারনে হয় তা হলে অবশ্যই ঐ রোগের চিকিৎসা করাতে হবেতবে সচরাচর এই রোগের জন্য কিছু অসুধ ব্যবহৃত হয় তার একটি হলো সিলডেনাফিল (sildenafil) যা অনেকের কাছেই ভায়াগ্রা নামে পরিচিতএছাড়া এনড্রোজেন জাতীয় হরমোন এবং পুরুষাঙ্গের অভ্যন্তরীস্থ মূত্রনালীতে প্রয়োগ করা হয় এমন কিছু অসুধ ও রয়েছে
অপারেশনের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রসথেসিস (prosthesis) স্থাপন করেও এই সমস্যা থেকে স্থায়ী পরিত্রান পাওয়া যায়ইউরোলজিষ্ট সার্জন গন এই প্রসথেসিস লাগিয়ে থাকেন
পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা বলতে অনেকে আবার দ্রুত বীর্য স্খলন কেও বুঝে থাকেনএকে বলা হয় প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন (premature ejaculation)এটি ভিন্ন একটি সমস্যা আর এর চিকিৎসাও ভিন্ন রকম

Friday, October 8, 2010

ভালোবাসা কি?

 
ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করা কঠিন।একে কিভাবে মোহ ও যৌনকামনা থেকে পৃথক করা যায় ? দার্শনিক ও মনোবিজ্ঞানীগণ ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন অথবা ন্যূনতম মোহ ও যৌন কামনা থেকে ভালোবাসাকে পৃথক করেছেন । যদি তুমি ভালোবাসার সংজ্ঞা খুঁজতে চাও, তবে নিচের অনুচ্ছেদটি তোমাকে সাহায্য করবে ।

১ . ভালোবাসার আভিধানিক অর্থ । বিভিন্ন ভাবে অভিধানে ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে । ভালোবাসা হলো :
  • একটি জোরালো আবেগ, অনুরাগ বা সুখানুভব। যেমন, কাজের প্রতি ভালোবাসা।
  • কোন বস্তুর প্রতি উষ্ণ আবেগ বা মনোনিবেশ করা বা পছন্দ করা। যেমন, আমি বাংলাদেশী খাবার ভালোবাসি।
  • প্রিয় ব্যক্তি বা প্রিয়জনের প্রতি স্নেহ আদর কোমলতা প্রকাশে।   
  • যৌন আকাঙ্খা বা আবেগের গভীর অনুভূতি। যেমন, সে তার স্বামীকে ভালোবাসে।
  • যৌন ভালোবাসা। দুজন ব্যক্তির মধ্যে যৌন মিলন, সহবাস।

২. গ্রীকরা ভালোবাসাকে চার ধাপে  সংজ্ঞায়িত করেছে।
  • Agape হলো শর্তহীন ভালোবাসা। যেমন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের ত্রুটিসহ আমাদের ভালোবাসেন।
  • Phi Leo হলো সেই ভালোবাসা যা আমাদের পছন্দ বা স্বাস্থকর বা অস্বাস্থকর প্রয়োজন বা আশক্তি দ্বারা আকৃষ্ট।
  • Storge হলো পারিবারিক ভালোবাসা। অনেক সময় বন্ধুত্বটাও এই ভালোবাসার মধ্যে পড়ে ।
  • Eros হলো শারিরীক যৌন আকাঙ্খা।

৩. মনোবিজ্ঞানীরা ভালোবাসাকে তিনটি পর্যায়ে ফেলেছেন।
  • তীব্র অনুভূতি: যা থেকে শারিরীক আকাঙ্খা তৈরী হয়।
  • অন্তরঙ্গতা: যা থেকে একে অপরের কাছে আসা।
  • অঙ্গীকার: যেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আমরা ভালোবাসি।

৪. বলা হয় যে, ঈশ্বরের সবচেয়ে মহান এবং জটিল সৃষ্টি হচ্ছে ভালোবাসা; এমনকি ঈশ্বরই ভালোবাসা।
৫. ভালোবাসা শুধুই একটি অনুভূতি নয়, এটা এক সক্ষমতা ।  
৬. নিজের মত করেও ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এজন্য ভালোবসা সম্পর্কে তোমার আবেগ এবং ভাবনা প্রথমে চিহ্নিত কর এবং লিখে রাখ । কারো প্রতি ভালোবাসার মুহুর্তটিতে সর্তক  থাকো।